Vibhu Raghave Died: মাত্র ৩৩ বছরেই প্রয়াণ, ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চিরনিদ্রায় টেলিজগতের জনপ্রিয় অভিনেতা

Vibhu Raghave Died: টেলিভিশন অভিনেতা বৈভব কুমার সিং রাঘভে, ওরফে বিভু রাঘভে নামে পরিচিত মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ইহোলোক গমন করলেন। বিভু, যিনি 'নিশা অর উসকে কাজিনস'-এ তার ভূমিকার জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন এবং দর্শকদের কাছে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছিলেন। কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সোমবার তিনি মারা যান। ২০২২ সালে কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তিনি নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অভিনেতা আদিত্য মালিক এবং সৌম্য ট্যান্ডন, যারা তার শেষকৃত্যের বিস্তারিত তথ্যও সোশ্যাল মাধ্যেমে শেয়ার করেছেন। ৩ জুন দুপুর ১২:৩০ থেকে অন্তিম দর্শন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইদিনই দুপুর ১ টায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। শেষকৃত্য রিলিফ রোড, প্রকাশ নগর, যোগেশ্বরী পশ্চিম, মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে, বলে জানিয়েছেন তারা।

অভিনেতার বন্ধু আদিত্য মালিক তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি আবেগঘন শ্রদ্ধাঞ্জলি পোস্ট করে লিখেছেন,"সবচেয়ে শুদ্ধ আত্মা, শক্তি এবং ইতিবাচকতার আলোকবর্তিকা। তার হাসি যেকোনো ঘরকে আলোকিত করতে পারে, এবং তার উপস্থিতিই সবকিছুকে আরও ভালো করে তুলেছিল। তিনি অতুলনীয় অনুগ্রহ, সাহসের সঙ্গে জীবনের লড়াইগুলির মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং এমন একটি ভালোবাসা রেখে গেছেন যা কখনও ম্লান হবে না। তার অভাব গভীরভাবে অনুভূত হবে"।

বিভুর মতো একজন প্রতিভাবান অভিনেতা মৃত্যুতে টেলিভিশন জগতের শিল্পী এবং সহকর্মীরা শোকাহত। অনেকেই তাদের গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। রেমন কাকর, নবীনা বোলে, দৃষ্টি ধামি এবং ঋতু চৌধুরী শেঠের মতো শিস্পীরা তাদের গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে, বিভু রাঘব চতুর্থ পর্যায়ের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। সেই সময়ে, তিনি একাধিক আবেগঘন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হৃদয়বিদারক খবরটি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টগুলিতে, তিনি খোলাখুলিভাবে তার রোগ নির্ণয়ের কথা বলেছিলেন, প্রকাশ করেছিলেন যে ক্যান্সার তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই মারণব্যাধির ভয়াবহ পূর্বাভাস জানা সত্ত্বেও, তিনি আশাবাদী ছিলেন এবং তার অনুসারীদের সঙ্গেও সমাজ মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন, প্রায়শই হাসপাতাল থেকে আপডেটগুলি ভাগ করে নিতেন। তার সাহস এবং সততা অনেকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল এবং তার শক্তি ভক্ত এবং সহকর্মী অভিনেতাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।

লিখেছেন প্রস্মিতা দে।